Tuesday, May 31, 2016

কিভাবে অনলাইন থেকে সহজে টাকা উপার্জন করবেন !!




অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন যা আমরা ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং হিসেবে জানি। ফ্রিলেন্সিং আর আউটসোর্সিং দুইটা আলাদা বিষয়  ।বেশিরভাগ লোকেরাই এই দুইটাকে একই জিনিস হিসেবে বিবেচনা করি।অনলাইন থেকে আসলেই টাকা ইনকাম করা সম্ভব এবং সেটা অনেকভাবে হতে পারে। আমি  এই পোষ্টে সে বিষয় নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করবো।

নতুনদের ক্ষেত্রে যে সমস্যা হয়, তা হচ্ছে তারা সঠিক গাইডলাইন পায় না।
চলুন দেখে নেওয়ার যাক অনলাইন থেকে কিভাবে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন।

১. ফ্রিলেন্স রাইটার

আপনার যদি  ইংলিশ জ্ঞান ভালো থাকে তাহলে আপনে ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার করে অনলাইন থেকে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। অনলাইনে মূলত ব্লগ পোষ্ট, প্রোডাক্ট/সার্ভিস রিভিউ পোষ্ট,নিউজলেটার ,  ই-বুক, থিসিস, প্রেস রিলেস, কপিরাইটিং এই ধরনের কাজ পাওয়া যায়। এই জন্য আপনাকে যেকোন একটা বিষয়ে খুব ভালো দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সেই বিষয়ে খুটি-নাটি সব কিছু জানতে হবে।আপনি চাইলে আপনার ব্লগ এ  ই-বুক, থিসিস পেপার রাখতে পারেন। সাধারণত একজন ফ্রিলেন্স রাইটার প্রতিদিন ৩-৬ ঘন্টা কাজ করে প্রতি মাসে ৫০০-২০০০ ডলার বা তারো বেশি আয় করে থাকেন।

২. গ্রাফিক ডিজাইন

অনলাইন মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক ডিজান করে ফ্রিল্যান্সাররা প্রতি মাসে ভালো পরিমাণ টাকা  আয় করে থাকেন।। গ্রাফিক ডিজাইনের মধ্য  রয়েছে লোগো ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ভেক্টর ডিজাইন, ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন, বিসনেস কার্ড ডিজাইন, পেড/মেমো ডিজাইন এর কাজ সব-সময় পাওয়া যায়। আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালো করে গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে হবে।তারপর মার্কেটপ্লেসে গিয়ে কাজের জন্য আবেদন করুন।


৩. ডেভেলোপার/প্রোগ্রামার

অনলাইন মার্কেটে ওয়েব ডিজাইনারডেভেলোপার, সফটয়্যার ডিজাইনার, ডেভেলোপারদের খুব চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি চান আপনি পার্ট-টাইম অনলাইনেও এই কাজ গুলো করতে পারেন। এই ধরনের কাজের জন্য অনেক বেশি টাকা উপার্জন করা যায়। আর যদি নতুন হিসেবে শুরু করতে চান তাহলে আগে ভালোভাবে কাজ শিখে নিতে হবে অন্যথায় অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া এত সহজ হবে না।আপনার যত বেশি কাজ সফলতার সাথে   শেষ করবেন তত বেশি টাকার কাজ পাওয়ার জাবে।এই জন্য দরকার ভালো ভাবে কাজটি  বোঝা  এবং সময়ের মধ্যে শেষ করা ।

৪. ইন্টারনেট মার্কেটিং

এস.ই.ও, এস.এম.এম, এস.ই.এম. ইত্যাদি ইন্টারনেট মার্কেটিং এর মধ্যে পড়ে। এর মধ্যে এস.এম.এম. মানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর টুক-টাক কাজ শিখেও আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ফিক্সড প্রাইস এর জব বা আওয়ারলি জব পেতে পারেন। তাছাড়া এস.ই.ও. এর অনেক জব পাওয়া যায় একদম ব্যাসিক লেভেল এর।

৫. ইমেইল মার্কেটিং

বর্তমানে আমাদের দেশে এটিও একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্রফেশন। ইমেল মার্কেটিং এ আপনি আওয়ারলি বা ফিক্সড প্রাইস এর জব পাবেন। তবে হ্যাঁ, আপনাকে এই কাজ করার আগে অবশ্যই অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে শিখে নিতে হবে অথবা কোন স্বনামধন্য ট্রেনিংসেন্টার থেকে ট্রেনিং নিতে হবে। ইমেইল মার্কেটিং এর মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে ইমেল টেমপ্লেট ডিজাইন করা, নিউজলেটার লেখা/সাজানো, ইমেইল পাঠানো ইত্যাদি।

৬. ব্লগিং

 ব্লগিং মূলত নতুনদের জন্য তেমন কার্যকরী নয় কারন এটি একটি লং টাইম প্রসেস এবং ব্লগিং থেকে উপার্জন করতে হলে আপনাকে অনেক কিছু জানতে হবে অথবা টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। ব্লগিং এর মাধ্যমে মূলত ইঙ্কামসোর্স হলো গুগল এডসেন্স, বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস আর সিপিসি সাইট। এছাড়া আপনি স্পনসর পোষ্ট, পেইড রিভিউ, এড স্পেস বিক্রি, পেইড গেষ্ট পোষ্টিং এর মাধ্যমে আপনার ব্লগ থেকে উপার্জন করতে পারেন।

৭. আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

আমাদের দেশে বর্তমানে আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনে আয় করার জন্য একটি পরিচিত শব্দ এবং রিসেন্টিলি অনেকেই আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন। আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও আসলে অনেকটা ব্লগিং এর মত, মানে এইখানে আপনে সফল হতে হলে আপনাকে অনেকগুলো বিষয় যেমন কন্টেন্ট রাইটিং, এস.ই.ও. ব্লগ ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্যবহার, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি জানতে হবে। অন্যথায় আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে এবং অন্যের উপরে ভরসা করে থাকতে হবে।

৮. সব কিছু বেচে দিন 😉

আপনার পুরাতন অব্যবহ্রত জিনিসপত্র আপনি অনলাইন মার্কেটে বেচে দিতে পারেন। এতে করে সাময়িক আপনি কিছু টাকা উপার্জন করতে পারেন। এছাড়া অনেকের হয়তবা ছবি আঁকা বা হ্যান্ডিক্রাফট বানানোর2 শখ থাকতে পারে, সুতরাং আপনি চাইলে সেইগুলাও অনলাইনে বিক্রয় করতে পারেন।

৯. ইউটিউব থেকে উপার্জন

আজকাল আমাদের দেশে অনেকেই ইউটিউব থেকে প্রতিমাসে খুব ভালো পরিমান টাকা উপার্জন করছে। এইটা আসলে নতুনদের জন্য অনেক কার্যকরী একটি উপায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করার। আপনাকে শুধু অল্পকিছু বিষয়ে ধারণা নিতে হবে ও পড়াশুনা করতে হবে ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য। আপনি যেকোন বিষয়ের উপরে টিউটোরিয়াল টাইপ ভিডিও তৈরী করতে পারেন এবং সেইগুলা ইউটিউবে শেয়ার করতে পারেন। তারপর গুগলে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করুন আর এডসেন্স দিয়ে আপনার ইউটিব চ্যানেল কে মনিটাইজ করুন আর টাকা উপার্জন করুন।

১০. ডোমেইন কেনা-বেচা

ডোমেইন কেনা-বেচাও অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করার সহজ একটি রাস্তা। এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু পরিমান টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এইখানে আপনাকে কিছু ডোমেইন কিনে রাখতে হবে এবং সেগুলা ডোমেইন-কেনা-বেচার সাইটে হোস্ট করে রাখতে হবে। তারপর আপনি ঐ ডোমেইন গুলা বেশি দামে বিক্রয় করে আর পাশাপাশি বিজ্ঞাপন শো করে টাকা আয় করতে পারবেন। এই ব্যাপারে বিস্তারিত পাবেন রুবেল ভাইয়ের এই পোষ্টে

কোথায় কাজ করবেন? (কোন মার্কেটপ্লেসে)

অনলাইনে কাজ করার জন্য অনেক জনপ্রিয় আর বিশ্বস্ত অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে।  জনপ্রিয় কয়েকটি মার্কেটপ্লেস হচ্ছে আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার, ইল্যান্স, পিপল পার আওয়ার, গুরু, এস.ই.ও. ক্লার্ক, সোর্স ওয়েভ, টপটাল, ক্রেইগলিষ্ট, ৯৯ডিজাইন্স, ফিভার, গেটএকোডার, এনাভেটো স্টুডিও ইত্যাদি।
তবে আপনি যে মার্কেটপ্লেসেই কাজ করতে চান না কেনো তার জন্য আপনাকে আগে ঐ মার্কেটপ্লেসে সুন্দর করে একটি প্রোফাই তৈরী করতে হবে। প্রোফাইলে আপনার সব তথ্য, প্রফেশনাল ছবি, আপনার কাজের পোর্টফোলিও ইত্যাদি দিতে হবে। তাহলেই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে প্রথমে কাজ পেতে একটু সময় বেশি লাগতে পারে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাই হয় কারণ আপনার প্রোফাইল নতুন এবং ঐ মার্কেটপ্লেসে আপনার কাজের কোন রেকর্ড বা রেটিং নাই। তাই হতাশ না হয়ে ঠিক মত প্রোফাইল সাজান আর আপনি যে কাজ করতে পারবেন শুধু সেই কাজেই বিড করুন।
বিড করার আগে অবশ্যই কাজের বিবরণ ভালো করে দেখে নিবেন কারন এমন কোন কাজে বিড করবেন না যেটা আপনি করতে পারবেন না। অন্যথায় দেখা গেলো যে আপনি কাজটা পেলেন কিন্তু ঠিকভাবে না করার কারনে বায়ার আপনাকে নেগেটিভ রিভিউ দিবে। এতে করে ভবিষ্যতে আপনার কাজ পেতে অসুবিধে হবে।

পেমেন্ট পাবেন কিভাবে?

এইটা একটা কমন প্রশ্ন যা ৯৯.৯৯% নতুনরা করে থাকে এমনকি এমন লোকেরাও এই প্রশ্ন করে যারা এখনো কোন কাজ যানে না বা কোন মার্কেটপ্লেসে তাদের প্রোফাইলও নাই। শুধু ঠিক করেছে যে অনলাইনে কাজ করবে, কি কাজ করবে, কোথায় করবে কোন কিছুই ঠিক নাই কিন্তু আগেই জিজ্ঞেস করে বসে ভাই টাকা পাবো কিভাবে? 😀
যাই হোক, বেশিরভাগ অনলাইন মার্কেটপ্লেসেরই (যেমন আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার, ইল্যান্স, পিপল পার আওয়ার, গুরু ইত্যাদি) ব্যংক ট্রান্সপার সিস্টেম রয়েছে। অর্থাৎ আপনি যে টাকা আয় করবেন সেটা বাংলাদেশের যেকোন ব্যংক একাউন্ট এ সরাসরি পাঠাতে পারবেন। তার মানে বাংলাদেশের যেকোন একটা ব্যাংকে আপনার একাউন্ট থাকলেই আপনি আপনার পারিশ্রমিক সেই একাউন্টে নিয়ে আসতে পারবেন। এক্ষেত্রে মার্কেটপ্লেস এবং ব্যাংকভেদে ৩-৭ দিন সময় লাগতে পারে।
ইদানিং বাংলাদেশে আরেকটা জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে পেওনিয়ার। অনেক মার্কেটপ্লেস এখন পেওনিয়ার একসেপ্ট করে, সুতরাং আপনি সহজেই পেওনিয়ার কার্ডের মাধ্যমে আপনার ডলার বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারবেন এবং সেই ডলার বাংলাদেশের যেকোন মাষ্টারকার্ড সাপোর্টেড এটিএম বুথ থেকে তুলতে পারবেন অথবা সরাসরি আপনার বাংলাদেশী ব্যাংক একাউন্টেও ট্রান্সপার করতে পারবেন। পেওনিয়ার কার্ড আপনি ফ্রিতেই পেতে পারেন এবং সাথে ২৫ ডলার ব্যালেন্স ফ্রি (কিভাবে পেওনিয়ার মাষ্টার কার্ড ও ২৫ ডলার ফ্রি পাবেন সেটা এইখানে দেখুন)। এছাড়া এই পেওনিয়ার কার্ডের আরো কিছু সুবিধা আছে যেমন আপনি চাইলেই যেকোন অনলাইন মার্কেট থেকে এই কার্ড ব্যবহার করে কেনা-কাটা করতে পারবেন।
এছাড়া পেপাল হচ্ছে আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে পেমেন্ট পেতে পারেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশে পেপাল অনুমোদিত নয় তাই যেইসব মার্কেটপ্লেস শুধু মাত্র পেপালেই পেমেন্ট করে সেই সব মার্কেটপ্লেস এড়িয়ে চলাই ভালো। আরো কিছু জনপ্রিয় পেমেন্টের মাধ্যম হচ্ছে স্ক্রিল, পেয়জা, নেটলার ইত্যাদি।

শেষ কথা

বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। এই কথার বলার অর্থ হলো সব কাজ সবার জন্য নয়। যদি তাই হতো তাহলে মানুষ এত কষ্ট করে চাকুরি বা অন্য কোন কাজ করতো না, ঘরে বসে অনলাইনে টাকা কামাতো আর বিন্দাস জীবন যাপন করতো। সুতরাং অনলাইন যদি কাজ করতে চান তার আগে খুঁটিনাটি সব বিষয় (ভালো-খারাপ) জেনে নিন। এমন কাজ বেছে নিন যেটা আসলেই আপনাকে দিয়ে সম্ভব। অন্যথায় অনলাইনের পিছনে ছুটে সময় আর টাকা নষ্ট না করে অন্যদিকে চেষ্টা করুন।
আর হ্যাঁ, নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না যে লেখাটি কেমন হয়েছে।

গুগল অ্যাডসেন্স কি এবং কিভাবে আয় করা সম্ভব


অ্যাডসেন্স (ইংরেজি ভাষায়: AdSense) গুগল পরিচালিত ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। এটি মূলত একটি লাভ-অংশিদারী প্রকল্প যার দ্বারা ব্যবহারকারী তার ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। একটি ওয়েবসাইটের মালিক কিছু শর্তসাপেক্ষে তার সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপণ প্রদর্শনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আজকের অনলাইন বিশ্বে এই বিষয়টি ব্যপক সাড়া জাগিয়েছে। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে গুগল তৃতীয় পরে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ওয়েবমাস্টার এবং ব্লগের মালিকদের নিকট বন্টন করে। ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে ওয়েবমাস্টাররা অর্থ উপার্জন করতে পারে। বিজ্ঞাপণদাতাদের নিকট থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ওয়েবমাস্টরদের মাধ্যমে বিতরণ করে গুগল।

গুগল অ্যাডসেন্স এর ব্যবহার ? এবং গুগল অ্যাডসেন্স এ আয় করা সম্ভব ?

গুগল অ্যাডসেন্স হচ্ছে বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের একটি Advertising program । এর মাধ্যমে উপার্জনের জন্য একটি ওয়েব সাইট থাকতে হবে। ফ্রি ওয়েব সাইট যেমন ব্লগস্পটের মাধ্যমেও গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে উপার্জন করা সম্ভব। গুগল অ্যাডসেন্স যদিও বহুদিন পূর্ব থেকেই সমগ্র বিশ্বে একটি নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘমেয়াদী উপার্জনের পদ্ধতি হিসাবে স্বীকৃত।টাকা উপার্জনের জন্য অনেকেই নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে অথবা ফ্রি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবহার করছে অ্যাডসেন্স।গুগল অ্যাডসেন্স এর মূল প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে না বুঝতে পারার কারনে অনেকের অ্যাডসেন্স একাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যারা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পেরেছে তারা ঠিকই উপার্জন করছে।

মূল বিষয় হচ্ছে, গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে যে কোন ধরনের ওয়েব সাইটের মাধ্যমে উপার্জন সম্ভব। শর্ত হচ্ছে, সাইটকে জনপ্রিয় করতে হবে। সাইটে প্রচুর ভিজিটর বা ট্রাফিক আশতে হবে, ভাল কন্টেন্ট তথা আর্টিকেল থাকতে হবে। ভিজিটর একবার সাইটে প্রবেশ করে পুনরায় প্রবেশ করার আগ্রহ থাকে এ ধরনের কন্টেন্ট বা আর্টিকেল প্রতিনিয়ত পোস্ট করতে হবে। সাইটে ভিজিটর প্রবেশ করানো এবং তাদেরকে ধরে রাখতে পারলে ভিজিটরদের একটি অংশ স্বাভাবিকভাবেই Google এর বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে। মনে রাখতে হবে, যত বেশি ভিজিটর আপনার সাইটে থাকবে তত আপনার উপার্জনের পরিমান বৃদ্ধি পাবে। প্রতিদিন গড়ে ১০০০ ভিজিটর সাইটে প্রবেশ করলে গড়ে ১০% ভিজিটর গুগলে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে। এতে গড়ে প্রতিদিন ১০ ডলারের চাইতেও বেসি উপার্জন শম্ভব । অর্থাৎ মাসে ৩০০ ডলার বা ২০০০০/- টাকা উপার্জন করা সম্ভব শুধুমাত্র একটি মানসন্মত ওয়েব সাইটের মাধ্যমে । একটি সাইট হতে এ ধরনের উপার্জন শুরু হয়ে গেলে ভিন্ন বিষয়ের উপর আরো সাইট আপনি তৈরি করতে পারবেন। অনলাইন উপার্জনের এক বিশাল দ্বার উন্মোচিত হবে আপনার জন্য। প্রয়োজন শুধু পরিশ্রম করার মানসিকতা।

ভাবতে পারেন, ক্লিক করলেই যেহেতু ডলার তাহলে চিন্তা কি, সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে শুধু ক্লিক আর ক্লিক………! Google কি এতই বোকা! বিজ্ঞাপনদাতারা কি এতই বোকা! ক্লিক করলেই টাকা দিবে! না, Fake Click করলে Google তার একাউন্ট বন্ধ করে দিবে। Original ক্লিক করলেই শুধু ডলার জমবে। তাহলে Original ক্লিক কোনটি, যার মাধ্যমে ডলার পাওয়া যাবে? সে কথাই আসছি, যেহেতু সাইটের বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে Google বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে, সেহেতু ভিজিটর যদি সাইটের contents দেখার পাশাপাশি গুগল অ্যাড এ ক্লিক করে উক্ত বিজ্ঞাপনদাতার সাইটে স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করে (এক্ষেত্রে ভিজিটর কিন্তু fake ক্লিক করেনি, বরং তার নিজস্ব আগ্রহে উক্ত বিজ্ঞাপন দাতার সাইটে প্রবেশ করেছে) তবেই হবে Original ক্লিক। এ ধরনের স্বাভাবিক ক্লিক করলেই আপনার উপার্জন হবে। Google তার অ্যাডসেন্স প্রোগ্রামের জন্য এমন টেকনোলজি ব্যবহার করেছে যে কেও fake ক্লিক করলে তা ধরে ফেলতে সক্ষম। অতএব, এ ধরনের অসাধু চিন্তা মাথা থেকে ঝেরে ফেলতে হবে। মনে রাখতে হবে, Google Adsense একটি দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা। এর পুঁজি হচ্ছে, আপনার ব্লগিং পরিকল্পনা ও সঠিকভাবে তার ব্যবহার। নগদ মূলধন বলতে শুধুমাত্র একটি পিসি আর ডোমেইন/হোস্টিং এর জন্য মাত্র ২/৩ হাজার টাকা। সঠিকভাবে ব্লগিং করতে পারলে, পর্যাপ্ত ভিজিটর সাইটে প্রবেশ করাতে পারলে মাসে হাজার ডলার উপার্জন করা সম্ভব-এটা কল্পনা নয়, বাস্তব।

ব্লগিং করার জন্য অনেক গুলো প্লাটফর্ম রয়েছে । সেগুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম গুলো হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগস্পট, দ্রুপাল । কিন্তু সব থেকে সহজে আপনি যদি একটি ব্লগ তৈরী করতে চান তবে ব্লগস্পট এর বিকল্প নাই । ব্লগস্পট সম্পূর্ণ ভাবে গুগল থেকে পরিচালিত, আর গুগল যে প্লাটফর্ম নিয়ে কাজ করছে সেটি যে ভালো হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ব্লগস্পট সম্পূর্ণ একটি ফ্রি ব্লগ তৈরির সাইট। ব্লগস্পট গুগল এডসেন্স ব্যবহার করার জন্য খুবই ভালো।

সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু আপনার হয়তোবা মনে হতে পারে সাইট এর এই ডোমেইন নামের সাথে ব্লগস্পট blogspot.com আপনার ভালো লাগছে না । এটা কোনো সমস্যা না , আপনি চাইলে আপনার সাইট এর জন্য ফ্রী কোনো ডোমেইন অথবা কেনা ডোমেইন সেটআপ করে নিতে পারবেন ।

Monday, May 30, 2016

কিভাবে bloging করে টাকা আয় করা যায়

আমি আজ এমন একটি পথকে আলোকপাত করব যার মাধ্যমে আপনি সত্যিই ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। আমি নিম্নে ধাপে ধাপে তা তুলে ধরছি :
অনলাইনে টাকা আয় নির্ভর করছে সম্পূর্ন আপনার উপর। অর্থাৎ আপনি কিভাবে ব্যাপারটিকে দেখছেন। আমাদের যদি কোন প্রডাকশন থাকে অর্থাৎ কোন পণ্য যদি আমরা তৈরী করে থাকি সেই পণ্য ইচ্ছে করলে আমরা বিক্রি করতে পারি। আমরা সাধারনত একটি দোকান বা এজেন্সি নেই তাদের মাধ্যমে আমরা পন্য গুলোকে বিক্রি করি। অনলাইনেও ঠিক একই পদ্ধতিতে আপনি আপনার পন্য গুলোকে বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু বাংলাদেশে ই-কমার্স সিস্টেম চালু না হওয়ার কারনে আমাদেরকে সেই ধারনা থেকে দূরে থাকতে হবে। অর্থাৎ আমরা ইচ্ছে করলেই আমাদের পণ্য ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে বিক্রি করতে পারি না। তাহলে যাদের কোন পন্য নেই তারা কিভাবে অনলাইনে আয় করবে? একটা পথ আছে যার মাধ্যমে লোকজন খুব সহজে পুরো বিশ্বে আয় করছে। তা হচ্ছে ব্লগিং সিস্টেম। আমার এই লেখার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্লগিং করে কিভাবে আমরা টাকা আয় করতে পারি।
এখন দেখব কিভাবে bloging করে টাকা আয় করা যায় :
ব্লগিং করলাম ভাল কথা কিন্তু ব্লগিং করে আমার টাকাটা আয় হবে কিভাবে এমন প্রশ্ন অনেকেরই থাকতে পারে। টাকা আয়ের অনেক উপায় আছে। ইন্টারনেটে অনেকে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে যাদের পন্য আছে তারা তাদের পন্যকে বিক্রি করতে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। তারা তাদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন বা অ্যাড ফার্ম গুলোর সহায়তা নিয়ে থাকে। সার্চ ইঞ্জিন Google এ যখন কোন কোম্পানী বিজ্ঞাপন দেয় তখন Google এগুলোকে বিভিন্ন ওয়েব সাইটের মাধ্যমে প্রচার করে। আর Google থেকে কোন বিজ্ঞাপন যদি কোন ওয়েব সাইটে দেওয়া হয় তাহলে Google তার বিজ্ঞাপনে ক্লিক প্রতি ০.১৮ ডলার ঐ সাইটের কর্তৃপক্ষকে দিয়ে থাকে। আর এভাবে Google কর্তৃক দেওয়া বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলেই আপনার আয় হবে। কিভাবে গুগুলের বিজ্ঞাপন নিজের ওয়েব সাইটে দিব? নিজের ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য Google adseane থেকে বিজ্ঞাপন নিয়ে আমরা আয় করব? নিচে এ ব্যাপারে বিশদ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
ক্লিভাবে ব্লগিং সাইট খুলব:
Bloging site খুলতে হলে প্রথমে আপনাকে G-mail এ রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। G-mail এ রেজিষ্ট্রেশন করতে হলে প্রথমে আপনাকে gmail.com এ যেতে হবে তারপর sing up for Gmail এ ক্লিক করতে হবে। G-mail এর একটা রেজিষ্ট্রশন ফর্ম আসবে তা আপনাকে পূরন করতে হবে। G-mail এ রেজিষ্ট্রশন হয়ে গেলে আপনিhttp://www.blogger.com ওয়েব সাইটিকে খুলবেন। যা আপনাকে প্রথমে মনে রাখতে হবে তা হল প্রথমে আপনাকে subject চয়েজ করতে হবে কোন বিষয়ের উপর আপনি আপনার ওয়েব সাইট খুলবেন। এখন আমরা জানব কিভাবে blogger এ সাইট তৈরী করা যায় আপনি blogger সাইটি থেকে Crate your blog now এ ক্লিক করেন। তারপর sing ug for blogger নামে একটি রেজিষ্টেশন ফর্ম ওপেন হবে। তা পূরন করে Continue তে ক্লিক করতে হবে। Name your blog নামে আরেকটি রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম আসবে তা পূরন করে Continue তে ক্লিক করতে হবে। তারপর একটি template সিলেক্ট করব এবং Continue তে ক্লিক করব তারপর আমারা start blogging এ ক্লিক করব এখন হয়ে গেল আপনার blogging site . আপনার ব্লগিং সাইটি হয়েছে কিনা দেখার জন্য www. আপনার ওয়েব সাইটের ঠিকানা. blogspot.com এ যান
কিভাবে blog post করব :
যদি আপনার ব্লগ সাইটি সাইন আপ না থাকে তাহলে www.blogger.com এর Sing in এর ঘরে আপনার ই-মেইল এড্রেস ও পাসওয়াড দিয়ে Sing in এ ক্লিক করুন। তারপর Posting এ ক্লিক করতে হবে। তাহলে নিচের চিত্রের মত একটি বক্স আসবে ঐ বক্সে Title অথ্যা শিরোনাম এর ঘরে আপনি যে সম্পর্কে লিখবেন তা লিখতে হবে। তারপর নিচের বক্সে আপনার blog পোষ্ট করতে হবে এবং publish post এ ক্লিক করতে হবে। এভাবে যত খুশি তত ব্লগ আপনি পোষ্ট করতে পারবেন।



কিভাবে Traffic সেট করব :


আপনার ওয়েব সাইটে প্রতিদিন কতজন আসল কতজন আপনার অ্যাড এ ক্লিক করল তা জানার জন্য আপনাকে Traffic সেট করতে হবে। Traffic সেট করতে আপনাকে কোন html code জানতে হবে না। কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানকে মোটা অংকের অর্থ দিতে হবে না। plugin.ws এ যান এবং রেজিষ্ট্রেশন করুন। রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হলে Counter Management নামে একটি বক্স আসবে ঐ বক্সটির নিচে HTML CODE নামে একটি বক্স দেখবেন ঐ বক্সে ক্লিক করুন তারপর আপনি ২টি বক্স দেখতে পারবেন আপনি নিচের বক্সের HTML CODE টি কে কপি করুন তারপর আপনি আপনার ব্লগার সাইটে সাইন ইন করুন। তারপর Layout এ ক্লিক করুন। Layout এ ক্লিক করার পর নিচের চিত্রের মত দেখতে পাবেন।
ঐ খানে Add a page Element এ ক্লিক করুন। তারপর একটি বক্স আসবে ঐ বক্সে HTML/JaveScript এ ক্লিক করতে হবে। তারপর কনফিক HTML/JaveScript নামে একটি বক্স আসবে। ঐ বক্সের Title এ লিখবেন Traffic এবং নিচের বক্সে plugin.ws থেকে পাওয়া HTML CODE কোড Paste করতে হবে। ব্যাস হয়ে সেট হয়ে গেল আপনার ট্রাফিক।
কিভাবে Google এর অ্যাড দিব :
এখন আসি আমাদের মূল বিষয় earning এ। এতক্ষন আমরা ব্লগ তৈরী করা শিখলাম। এখন আমরা শিখব কিভাবে ব্লগে google এর অ্যাড দিয়ে earn করা যায়। আপনি google এর অ্যাড দিতে হলে প্রথমে আপনাকেwww.google.com/adsense এ রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন করার পর আপনার একাউন্ট ভ্যারিকেশন করার জন্য এরা ১/২দিন সময় চাইবে। তারপর আপনার একাউন্টে এরা মেইল করে জানিয়ে দেবে আপনার একাউন্ট হয়েছে কিনা। যদি আপনার একাউন্ট তৈরী করা হয়ে যায় তারপর adSense setup এ ক্লিক করতে হবে।
তারপর ঐ খান থেকে Ad type এ add unit ও Link unit দেখতে পাবেন ঐ খান থেকে আপনি যে প্যাটেনের অ্যাড দিতে চান তাতে সিলেক্ট করুন নিচের চিত্রের মত :
আপনি চাইলে আপনার অ্যাড এর সাইজ আপনি Ad Layout থেকে চয়েজ করতে পারেন নিচের চিত্রের মত :
তারপর upload code এ ক্লিক করুন বিভিন্ন অ্যাড এর প্রাপ্ত HTML CODE টি কে কপি করুন
তারপর আপনি আপনার ব্লগার সাইটে সাইন ইন করুন। তারপর Layout এ ক্লিক করুন ঐ খানে Add a page Element এ ক্লিক করুন। তারপর একটি বক্স আসবে ঐ বক্সে HTML/JaveScript এ ক্লিক করতে হবে। তারপর কনফিক HTML/JaveScript নামে একটি বক্স আসবে। ঐ বক্সের Title এ যে কোন একটি নাম লেখবেন এবং নিচের বক্সে adSense থেকে পাওয়া HTML CODE কোড Paste করতে হবে। তারপর save করতে হবে। আপনি এই একই নিয়মে adsence থেকে google search বক্স ও যোগ করতে পারবেন। কেউ যদি আপনার সাইটে ঢুকে ঐ সার্চ বক্স দিয়ে সাচ করে তাহলে ও গুগুল আপনাকে ডলার পেইড করবে। আপনার ওয়েব সাইটে গিয়ে আপনি দেখবেন গুগুল কর্তৃক আপনার সাইটে অ্যাড দেওয়া হয়েছে কিনা। যদি হয়ে থাকে তাহলে আপনি অ্যাড এ ক্লিক করতে আরম্ভ করেন আর শুরু হয়ে গেল আপনার earning আপনার দৈনিক earn দেখতে www.google.com/adsense এ সাইন ইন করুন আপনার একাউন্ট।
কিভাবে গুগুল টাকা পেইড করে :
মনে রাখা দরকার আপনি ১০০ ডলারে কম টাকা গুগুল থেকে উত্তোলন করতে পারবেন না। ১০০ ডলার আপনার একাউন্টে জমা হলে আপনি গুগুল কর্তৃপক্ষের কাছে দরখাস্ত করলে গুগুল কতৃপক্ষ আপনার টাকা ওয়েস্টান মানি টান্সফার এর মাধ্যমে অথবা আপনার একাউন্ট নাম্বার দিলে আপনার একাউন্টে প্রেরন করে দেবে।
wordpress